শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পরীক্ষা দিতে পারেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শুভ্র দেব সাহা। ছাত্রলীগ নেতা পরীক্ষা দিতে আসার খবরে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সতেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হলে আটকে রেখে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করতেন শুভ্র দেব সাহা। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ইইই বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়। এতে অংশ নিতে আসার কথা থাকলেও বিভাগের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি পরীক্ষা দিতে আসতে পারেননি।
ইইই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, শুভ্র দাদা প্রথম বর্ষে থাকতে আমাকে ছাত্রলীগ করতে বলেছিল। প্রথমদিকে ছাত্রলীগে যুক্ত না হওয়ায় একদিন আমাকেসহ আমাদের ব্যাচের কয়েকজনকে সোহরাওয়ার্দী হলে নিয়ে শিবির ট্যাগ দেয়। বলে তোর জীবন শেষ করে দেব। তুই শিবির করিস আর কোনো দিন পড়ালেখা করতে পারবি না। আমি শিবির সেজন্য তার কাছে প্রমাণ চাইলে উনি আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমরা আমাদের বিভাগে কোনো সন্ত্রাসীকে আর দেখতে চাই না।
ছাত্রলীগ নেতা শুভ্র বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিল দাবি করে সাকিব নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাছে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান করি।
এ বিষয়ে জানতে শুভ্র দেব সাহার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ইইই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা শুভ্র দেব সাহা পরীক্ষায় নিরাপত্তার জন্য আমাকে কিছু জানায়নি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমি এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তা আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেব।