লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে যে কোনো মুহূর্তে লেবাননে প্রবেশ করতে পারে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা কাউন্সিল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ‘পরবর্তী ধাপের’ অনুমোদন দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরবর্তী ধাপ বলতে লেবাননে স্থল হামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, দখলদার ইসরায়েল তাদের জানিয়েছে, লেবাননে ‘সীমিত’ আকারের স্থল হামলা চালানো হবে। যেন সীমান্ত এলাকা থেকে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের সরিয়ে দেওয়া যায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের কয়েকটি বসতির বাসিন্দাদের চলাচল সীমিত করে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মেতুলা, মিসগাভ এম এবং কেফার গিলাদিকে ‘বন্ধ সামরিক জোন’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে সেখানে এখন কোনো বেসামরিক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়া রাতের বেলা লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যেসব ভবনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল।
লেবাননে সম্ভাব্য স্থল হামলা চালানোর জন্য গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে ট্যাংক ও সেনা জড়ো করছিল ইসরায়েল। ইতিমধ্যে লেবানন সীমান্তে তিন ব্রিগেড সেনা নিয়ে গেছে তারা।
তবে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম গতকাল সোমবার জানান, ইসরায়েলের স্থল হামলা এবং দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন। তবে গত ১০ দিনে সিরিজ হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহকে অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে ইসরায়েল। এই মুহূর্তে ইসরায়েল স্থল হামলা চালালে হিজবুল্লাহ কতটা সফল পাবে সেটি স্পষ্ট নয়।