আসন্ন দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস স্মারকের মাধ্যমে আজ এ নির্দেশনাসমূহ জারি করা হয়।
অফিস স্মারকে বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এসব নির্দেশনাসমূহ জারি করা হয়।
নির্দেশাবলী সংক্ষেপে:
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা: পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে দৃশ্যমান টহল জোরদার করতে হবে। গোয়েন্দা তৎপরতাও বৃদ্ধি করতে হবে।
সহযোগিতা: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
পূর্ব প্রস্তুতি: যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
তৎক্ষণিক ব্যবস্থা: কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
পরিদর্শন: স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশি¬ষ্ট সকলকে পূজামন্ডপসমূহ পরিদর্শন করতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পূজামন্ডপের নিরাপত্তা: পূজা উদযাপন কমিটিসমূহকে পূজামন্ডপসমূহে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োজিত করতে হবে।
সিসি ক্যামেরা: প্রতিটি পূজামন্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাহিনীর মোতায়েন: শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে।
মনিটরিং কমিটি: শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন: জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরূপ কমিটি গঠন করবেন।