চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামীর ওপর অভিমান করে বৃষ্টি খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। তুচ্ছ ঘটনায় কোলের সন্তান রেখে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পুটিমারি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই গৃহবধূ।
বৃষ্টি খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের ছোট পুটিমারি গ্রামের আব্দুল হাকিমের স্ত্রী।
বৃষ্টি খাতুনের স্বামী আব্দুল হাকিম বলেন, আমার শ্যালক দুই দিন যাবত অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সকাল ৬টার দিকে কাজে যাবার সময় আমার স্ত্রী বলে হাসপাতালে তার ভাইয়ের কাছে রেখে আসতে। তাকে বলি কাজ শেষে দুপুরে নিয়ে যাব। সে বলে, ‘এখনই নিয়ে যেতে হবে, না নিলে বিষপান করব’। পরে আমি উত্তেজিত হলে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শেষে কাজে চলে যাই আমি। কিছুক্ষণ পর আমার মা আমাকে ফোন করে বলে, আমার স্ত্রী বিষপান করেছে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে হাসপাতালে এসে দেখি স্ত্রী আমার সামনেই মারা গেল।
তিনি আরও বলেন, আমার একটি এক বছর বয়সী পুত্রসন্তান রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে আমি এখন কী করব। মাকে না পেয়ে অনারবত কাঁদছে সে।
বৃষ্টি খাতুনের মা বলেন, আমি আমার ছেলের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলাম। সকালে শুনতে পাই আমার মেয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে বিষপান করেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এটা আমি জানি না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, সকালে বৃষ্টি খাতুনকে আশংকাজনক তার পরিবারের সদস্যরা জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। আমরা পাকস্থলী ওয়াশের প্রস্তুতিকালে মারা যায়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।