২০১৩ সালে বিএনপি ঘোষিত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি সি’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সাবেক ছাত্রদল নেতা শরীফুল ইসলাম শাওন বাদি হয়ে গুলশান থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজহারে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে এক নম্বর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এজহারে উল্লেখ করা হয়, মামলার আসামিরা গোপন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন যে, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে কোনোভাবে খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে বের হয়ে সমাবেশে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না। পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসামিরা মরণাস্ত্র, লাঠি, বন্দুক, টিয়ারসেলসহ যুদ্ধ ক্ষেত্রের মতো সজ্জিত হয়ে গুলশান-১ ও ২, বনানী, বারিধারা ডিওএইচএস ও আমেরিকান দূতাবাসসহ আশপাশের এলাকায় র্যাব, পুলিশ ও ডিবিসহ ২৮ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান নেয়। সঙ্গে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দেয়। সে সময় আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর ও গণহারে গ্রেপ্তার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ২৮ ডিসেম্বর খালেদ জিয়ার গুলশান অফিসের সামনে কয়েকটি বালুর ট্রাক রাখা হয়। অফিসের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া যেন সমাবেশে অংশ নিতে না পারেন সেজন্য রাস্তায় ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। এতে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, যা সংবিধান পরিপন্থি ও গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন।
সমাবেশে অংশ নিতে খালেদা জিয়া বারবার বের হওয়ার চেষ্টা করলে আসামিরা বের হতে বাধা দেন বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়। বাসভবনের সামনের দুইপাশের রাস্তায় বালুর ট্রাক দিয়ে বাধা সৃষ্টি করা এবং খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলেও এজহারে অভিযোগ জানানো হয়।