স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, আগে তদন্ত হবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলেই কেবল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপদেষ্টা আজ বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) হেডকোয়ার্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আত্মাৎসর্গকারী বীর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কাউট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ইউনিট লিডার শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র নামে প্রতিষ্ঠিত ‘স্কাউটার শহিদ মীর মুগ্ধ ভবন’ ও তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় উৎসর্গীকৃত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের প্রবেশ তোরণ উদ্বোধন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর বলেন, আগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করতো, ১০ জনের নাম দিতো আর ৫০জন দিতো বেনামী।
তিনি বলেন, এখন কিন্তু পুলিশ মামলা করছে না। মামলা করছে সাধারণ জনগণ।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা জীবন উৎসর্গ করেছে তারা সবাই শহিদ। শুধু মুগ্ধ নয়, যারা শাহাদত বরণ করেছেন, তাদের সবার জন্য আপনারা দোয়া করবেন যেন তারা শহিদের মর্যাদা পায়।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকার করবে। যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বিদেশে পাঠাতে হয়, সে ব্যবস্থাও সরকার করবে। তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনা হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আহত ও অসুস্থদের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বিগত সরকারের নেতা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অপরাধী তাদের বেশিরভাগই ৫ থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে পালিয়ে গেছে। আর যাতে নতুন করে পালাতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেজন্য এখন পালানোটা তাদের জন্য বেশ দুরূহ হয়ে গেছে। আর এখন পালাতে গেলে শুধু পুলিশ ও বিজিবি নয়, সাধারণ জনগণই তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে। উপদেষ্টা এসময় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অপরাধীদের ধরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি সেলিম মো. জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। এসময় শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত ও মুগ্ধর জমজ ভাই স্নিগ্ধ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা পরে এপিবিএন মসজিদে স্কাউটার শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।