নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। এই বিশেষ টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে এই বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই বিশেষ টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। আর সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক।
এ ছাড়াও এই টাস্কফোর্সে সদস্য হিসেবে থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বা উপযুক্ত প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, ক্যাবের প্রতিনিধি এবং ২ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই টাস্কফোর্স নিয়মিত বিভিন্ন বাজার, বৃহৎ আড়ত/গোডাউন/কোল্ডস্টোরেজ ও সাপ্লাই চেইনের অন্যান্য স্থানসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার বিষয়টি তদারক করবে। এ ছাড়াও টাস্কফোর্স উৎপাদন, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ের মধ্যে যাতে দামের পার্থক্য ন্যূনতম থাকে তা নিশ্চিত করবে ও সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে মত বিনিময় সভা করবে।
টাস্কফোর্স প্রতিদিনের মনিটরিং শেষে একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পাঠাবেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া প্রতিবেদন সংকলন ও পর্যালোচনা করে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন দেবে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, অনেক পণ্য ডিউটি ফ্রি করার পরও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এজন্য বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুতই মাঠে নামবে টাস্কফোর্স।