টেস্ট ফরম্যাট থেকে আচমকাই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই সময় তার লাল বলের পারফরম্যান্স নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছিল। এরপর ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিদেশের মাটিতে খেলতে নেমেই সাদা পোশাক তুলে রাখার ঘোষণা দেন রিয়াদ। তবে নিয়মিত খেলছিলেন সাদা বলের দুই ফরম্যাটে। এরপর গত কয়েকদিনের গুঞ্জনের মাঝে সাবেক এই অধিনায়ক নিজের ক্যারিয়ার আটকে রাখলেন কেবল ওয়ানডেতে।
আজ (মঙ্গলবার) দিল্লিতে টাইগারদের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘এই সিরিজের শেষ ম্যাচের (১২ অক্টোবর) পরই আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। আসলে এটা আমি এই সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।’
চাপের কারণে নাকি নিজ থেকেই এই সময়টাকে অবসরের জন্য বেছে নিলেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া রিয়াদ? জবাবে চাপ নয়, বরং নিজ থেকেই এটাকে সঠিক সময় ধরে নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি, ‘আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়। পরের বিশ্বকাপের জন্য এখনই প্রস্তুতি শুরু করা উচিৎ।’
তবে এমন সিদ্ধান্ত নাকি শুরুতে মেনে নেয়নি রিয়াদের পরিবার। পরে তাদের বুঝিয়ে তিনি কথা বলেছেন বিসিবির সঙ্গে। মাহমুদউল্লাহ বলছেন, ‘ভারত সিরিজের আগে অনুশীলন শুরুর সময়ই এসব (অবসর) নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। পরিবার শুরুতে বোঝেনি, তারা ভেবেছিল এটা সঠিক সময় নয়। আমি নানাভাবে পরিবারকে বুঝিয়েছি, এরপর তারা বুঝেছে। তারপর আমি বোর্ড সভাপতি এবং নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহর অভিষেক হয় ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রায় ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১৩৯টি (অবসরের সময় হবে ১৪১) ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যেখানে ৮ ফিফটির সঙ্গে ২৩.৪৮ গড় এবং প্রায় ১১৮ স্ট্রাইকরেটে তিনি ২৩৯৫ রান করেছেন। এ ছাড়া বল হাতে তিনি সংক্ষিপ্ত সংস্করণটিতে শিকার করেন ৪০ উইকেট।