ব্যক্তিজীবনে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জর্জরিত হন সারেগামাপা খ্যাত সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। ফলে এই গায়কের ওপর একরকম মুখ ফিরিয়ে নেন শ্রোতা-ভক্তরা। এরপর হারিয়ে যান এক অন্ধকার জগতে।
মাঝে কেটে যায় অনেকটা সময়। এর মাঝে অবশ্য অনেক খারাপ সময় কাটাতে হয়েছে নোবেলকে। জড়িয়ে পড়েন মাদকাসক্তে। এছাড়াও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন নোবেল। ফলে এর প্রভাব পড়ে গায়কের সংসার জীবনে।
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেন নোবেল। এরপর খ্যাতির অন্ধকারে নানান বিতর্কিত কাণ্ড ঘটান নোবেল। ফলে তিক্ততা সৃষ্টি হয় স্ত্রী সালসাবিলের। তখন নোবেলকে নিয়ে তৈরি অশান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে তার স্ত্রীর জীবন। শেষমেষ নোবেলের পরিণতি দাঁড়ায় সংসার ভাঙনে।
বলা বাহুল্য, একসময়ের সকলের চোখের মণি নোবেল ‘মাদকাসক্ত’ তকমাও পেয়ে যান। তবে তার কিছু অনুরাগীদের প্রার্থনা ছিল তার সুস্থতা কামনায়। কাটিয়েছেন রিহ্যাবেও। সেখানে একটা লম্বা সময় কাটিয়ে ফের কামব্যাক করছে এই গায়ক। কাজও পাচ্ছেন টুকিটাকি। একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে নিজের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার বার্তাও দিচ্ছেন।
নোবেলের ফিরে আসার খবরে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে নোবেল যদি ফিরেও আসে, দর্শকের ভালোবাসাটা আবার যেন পায়। এরকম না যে আমার সঙ্গে ফিরে আসবে।’
নোবেলকে ফিরে আসার জন্য ঠিক হওয়া, নেশা বন্ধ করা, তার ফ্যানদের কষ্ট না দেওয়ার কথা বলেও নাকি বোঝানো হত নোবেলকে- বলেন সালসাবিল। তার কথায়, ‘তোমার (নোবেলের) পরিবারের জন্য, যারা তোমার ফ্যান, যে কাজে সবার জন্য কষ্টের কারণ হবে এ কাজগুলা তাকে বোঝানো হচ্ছিল ফিরে আসার জন্য। সেই জায়গা থেকে এর চেষ্টার পরে সবার, ওর ফ্যানদের চাওয়ার পর ও যদি ফিরে আসে, তাহলে আমার আফসোস নয়, আমার অনেক বেশি আনন্দ হবে।’