বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন সাংবাদিক রিপন হাওলাদার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এ সাংবাদিক। শরীরে এখনো অনেক গুলো ছররা গুলি রয়ে গেছে। তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে (অন্ডকোষ) গুলি থাকায় তার অপারেশন ও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানান রিপন হাওলাদার।
রিপন হাওলাদার বাসস’কে বলেন, শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালনই নয় এ আন্দোলনের প্রতি আমার সমর্থনও ছিল। কেননা বিগত শাসনামলে দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার, মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতা ছিল না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ছিল প্রকট। ভয়ংকর এক ফ্যাসিবাদী শাসনে মানুষ ছিল জিম্মি। সকল ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হলেও এতে আমি আনন্দ ও গর্ব অনুভব করছি। কারণ এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের আত্মমর্যাদা ও সুশাসন নিশ্চিত এবং সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসন হলে আমার রক্ত দেয়া স্বার্থক হবে।
সরেজমিন পত্রিকার সাংবাদিক রিপন হাওলাদার গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। ওইদিন রামপুরা ব্রীজ সংলগ্ন মন্দিরের সামনে পুলিশ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের মিছিলে টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালায়। ওই সময় ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন রিপন। ঠিক তখনই পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন রিপন। সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় উপস্থিত সহকর্মীরা। এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন রিপন। তার অপারেশন ও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান রিপন হাওলাদার।
রিপন রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা রূপনগর এলাকায় পিতা এমদাদুল হকসহ বসবাস করছেন। তার ছয়মাস বয়সে মাকে হারান তিনি। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া এলাকায় তাদের স্থায়ী নিবাস।