ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বার্লিন সফরে এসে আশা প্রকাশ করেছেন যে রাশিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হবে। টেকসই সামরিক সহায়তার জন্য জার্মানির কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, এই যুদ্ধে জয়লাভের জন্য তার একটি পরিকল্পনা রয়েছে।
যুদ্ধের তৃতীয় শীত ও জরুরি সহায়তা: ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর পর তৃতীয় কঠিন শীতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কি ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে অধিকতর সমর্থন ও সহায়তা চাইছেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ইউক্রেনকে আরো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শান্তি সম্মেলন ও রাশিয়ার ভূমিকা: শোলজ এবং জেলেনস্কি উভয়েই রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি শান্তি সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হলেও, শোলজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে শান্তি আনতে হলে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা জরুরি। রাশিয়ার নির্ধারিত শান্তি তারা মেনে নেবেন না।
পোপ ফ্রান্সিসের সাথে সাক্ষাত: জেলেনস্কি ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের সাথেও সাক্ষাত করেছেন। ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় বন্দী এবং নির্বাসিত লোকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পোপের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সহায়তা: ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য দূরপাল্লার অস্ত্র চায়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এই অনুরোধ মঞ্জুর করতে দ্বিধাগ্রস্ত। জার্মানিও ইউক্রেনকে টরাস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
জেলেনস্কির বার্লিন সফর ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর আলোকপাত করেছে। যুদ্ধের সমাপ্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা এই সফরের মধ্য দিয়ে আরও স্পষ্ট হয়েছে।