একপেশে এক লড়াই দিয়ে ভারতের মাটিতে সফর শেষ করল বাংলাদেশ। সফরকারী নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি কোনো সিরিজেই পাত্তা পায়নি। যার শেষটা হয়েছে রেকর্ডময় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। ফরম্যাটটিতে ভারত নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তো বটেই, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ রান তুলেছে। জবাবে বাংলাদেশ ১৬৪ রানে থেমে যাওয়ায় ম্যাচ হারে ১৩৩ রানের রেকর্ড ব্যবধানে।
পুরো ম্যাচে যেসব রেকর্ড হয়েছে সেসব সংখ্যায় সংখ্যায় দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
২১
এক বছরে ভারতের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয় ২১টি (৯৫.৪৫ শতাংশ)। যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। এর আগে অবশ্য ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টিতে ২৮টি ম্যাচ জিতেছিলেন রোহিত-কোহলিরা। যদিও এক বছরে সর্বোচ্চ ২৯ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটি উগান্ডার দখলে। পাকিস্তান ২০২১ সালে ফরম্যাটটিতে ২০ ম্যাচ জিতেছিল।
৩৭
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ৩৭ বার ২০০–এর বেশি রান তোলার রেকর্ড গড়েছে ভারত। জাতীয় দলের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া (২৩ বার)। সবমিলিয়ে ভারতের পরে অবস্থান ইংল্যান্ডের ক্লাব সামারসেট (৩৬), আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই (৩৫) ও বেঙ্গালুরুর (৩৩)।
৪০
টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে দ্রুততম শতকের তালিকায় চার নম্বরে নিজের নাম তুলেছেন সাঞ্জু স্যামসন। তিনি ৪০ বলে করেছেন শতরান। এই ফরম্যাটে দ্রুততম সেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের। ৩৫ বলের সেই সেঞ্চুরিটাও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। অবশ্য উইকেটরক্ষকের হিসেবে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ঠিকই নিজের করে নিয়েছেন স্যামসন, আর ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম (রোহিত করেছেন ৩৫ বলে)।
৪৭
২২ ছক্কা ও ২৫ চার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটসম্যানরা মোট ৪৭টি বাউন্ডারি খেলেছেন। যা এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হজমের নতুন রেকর্ড বাংলাদেশের। সেইসঙ্গে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২২ ছক্কাও হজম করেছে তারা। এমনকি টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে এক ইনিংসে যৌথভাবে (আরেক দেশ শ্রীলঙ্কা) সবচেয়ে বেশি ছক্কা খাওয়ার লজ্জাজনক এক রেকর্ড এটাই।
৬৬
বাংলাদেশের হয়ে এদিন সবচেয়ে বেশি ৩ উইকেট পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে খরুচে স্পেল এটি।
৭০
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে গতকাল মোট ৭০টি বাউন্ডারি হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচে ৮১ এবং ২০২২ সালে বুলগেরিয়া-সার্বিয়া ম্যাচে ৭১টি বাউন্ডারি হয়েছিল।
৮২
ভারতের হয়ে ফরম্যাটটির পাওয়ারপ্লেতে সবচেয়ে বেশি রান উঠেছে এদিন। বাংলাদেশের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টির প্রথম ৬ ওভারে সবচেয়ে বেশি রানের নজির এটি। আর এই রান তুলতে ১৫ বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে ভারত। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির প্রথম ৬ ওভারে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির নজির।
১৩৩
রানের বিচারে এটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার। ফরম্যাটটিতে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ (রানের হিসাবে) ব্যবধানে জিতেছে ভারত। এর আগে তারা নিউজিল্যান্ডকে ১৬৮ এবং আয়ারল্যান্ডকে ১৪৩ রানে ফরম্যাটটিতে হারিয়েছিল।
১৭৩
গতকাল ভারতের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৭৩ রান যোগ করেছেন সঞ্জু স্যামসন ও সূর্যকুমার যাদব। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। ভেঙ্গেছে কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশোর ১৬৮ রানের পার্টনারশিপ। এ ছাড়া ভারতের হয়েও দ্বিতীয় উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ।
২৯৭
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এটাই টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। অবশ্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় ভারতের এই স্কোর দুইয়ে আছে। ৩১৪ রান করে সবার ওপরে নেপাল, প্রতিপক্ষ ছিল মঙ্গোলিয়া।
৪৬১
ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান উঠেছিল গতকাল। দুই ইনিংস মিলিয়ে হয়েছে ৪৬১ রান। ২০১৯ সালে আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৭২ রান দেখা গিয়েছিল।