মুম্বাইয়ের পূর্ব বান্দ্রায় নিজ ছেলের অফিসের বাইরের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে। ভারতের সাবেক এই মন্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে তারা লিখেছে, ‘আমাদের কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। কিন্তু সালমান খান বা দাউদ ইব্রাহিমকে যে বা যারা সাহায্য করবেন তারা এখন থেকে দিন গুনতে শুরু করুন।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, বলিউড ভাইজান সালমান খান ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণেই খুন হয়েছেন বাবা সিদ্দিকি।
যে কারণ প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর খবরে শুটিং ফেলে ছুটে যান সালমান। যদিও নিরাপত্তার কারণে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল ভাইজানকে। কিন্তু সেই কথা কানে তোলেননি তিনি।
তবে সালমানের মতো বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে দেখা মেলেনি শাহরুখ খানের। এই খুনের ঘটনার পর শুরু থেকেই নীরব রয়েছেন বলিউড বাদশাহ।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রের দাবি, ‘কোনো রাজনীতিবিদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়াতে চান না শাহরুখ খান। এই মামলা সালমান খান ও কিং খানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এ কারণে দূরে থাকতে চান শাহরুখ। লরেন্স বিষ্ণোই কীভাবে কাজ করছে, তা দেখছেন শাহরুখ। তিনি চান না, তারও কোনো ক্ষতি হোক। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও এ কারণে বাবা সিদ্দিককে শেষবারের মতো দেখতে যাননি শাহরুখ।’
এদিকে প্রয়াত বন্ধুকে শেষ বারের মতো দেখে আসার পর থেকেই নাকি ঘুমাতে পারছেন না সালমান খান। নিজের মাথার উপর মৃত্যুর খাঁড়া ঝুলছে জেনেও বার বার সিদ্দিকিদের বাড়ি গিয়েছেন তিনি।
শুধু সালমান একা নন, বলিউডের ছোট-বড় সকল অভিনেতাই সেখানে যান। শিল্পা শেট্টি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে একমাত্র দেখা যায়নি শাহরুখ খানকে।
বিনোদন জগতের মানুষদের সঙ্গে নিত্য উঠাবসা ছিল বাবা সিদ্দিকির। বিপুল সম্পত্তির মালিক বাবা সিদ্দিকি। একটা সময় নিজেও অভিনয়ের দুনিয়ার মানুষ ছিলেন। তবে রাজনীতিক হিসাবেই পরিচিতি পেয়েছেন। সালমান থেকে শাহরুখ, ক্যাটরিনা থেকে প্রীতি জিন্টা-বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে হাজির থাকতেন বলিউডের প্রথম সারির তারকারা।
২০১৪ সালে বাবা সিদ্দিকীর ইফতার পার্টিতে সালমনাকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন শাহরুখ। যেটা আগে থেকেই নাকি পরিকল্পনা ছিল সাবেক মন্ত্রীর। ইফতার পার্টিতে শাহরুখের পাশে বসেছিলেন সালমানের বাবা, বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকার সেলিম খান।
পার্টিতে আমন্ত্রিত সালমান টেবিলের কাছে আসার আগে শাহরুখ , সেলিম খানের সঙ্গে গল্প করছিলেন। সালমান হেঁটে আসতেই শাহরুখ উঠে দাঁড়ান এবং একে অপরকে আলিঙ্গন! ব্যাস, এক চুটকিতেই বলিউডের দুই সুপারস্টারে বড় বিরোধ নিমেষে শেষ হয়। এরপর দুজনকেই বুকে টেনে নেন বাবা সিদ্দিকি।