ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য পাকিস্তানে গেছেন। প্রায় এক দশকের মধ্যে এটি চির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দেশটিতে নয়া দিল্লির শীর্ষ রাষ্ট্রদূতের প্রথম সফর।
নয়াদিল্লি থেকে এএফপি জানায়, মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)’র শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর ইসলামাবাদে যাবেন। উভয় পক্ষই বলেছে, কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পরিকল্পনা নেই। জয়শঙ্করের সফর কঠোরভাবে এসসিও’র সময়সূচি অনুসরণ করবে।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরে ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের বিভাজন পর থেকে দুটি পারমাণবিক সশস্ত্র দেশ পরস্পরের তিক্ত প্রতিপক্ষ। একাধিক যুদ্ধ করেছে দেশ দু’টি।
এসসিওভুক্ত চীন, ভারত, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও বেলারুশ ছাড়াও পর্যবেক্ষক বা সংলাপ অংশীদার হিসেবে যুক্ত থাকবে আরও ১৬ দেশ।
এসসিও-কে কখনো বা পশ্চিমা-আধিপত্যের ন্যাটো সামরিক জোটের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারত এসসিও ফরম্যাটে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছে।
নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য এসসিও’র একটি ম্যান্ডেট থাকলেও ইসলামাবাদ শীর্ষ সম্মেলনটি বাণিজ্য, মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোতে ফোকাস করবে।
২০১৫ সালে শেষবার ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান সফর করেন। তিনি সে সময় তৎকালীন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আফগানিস্তান সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। একই বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করতে লাহোরে আকস্মিক সফর করেন। সফর পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের বরফ গলানোর আশা জাগায়।
তবে, ২০১৯ সালে মোদির সরকার ভারত-শাসিত কাশ্মীরের সীমিত স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করলে পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করে এবং নয়াদিল্লির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।