ভোজ্য তেলের আমদানিতে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে এ প্রস্তাব করা হয়।
সর্বশেষ গত ১৮ এপ্রিলে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্য সমন্বয় হয়েছিল। বিশ্ববাজারে গত কয়েকমাস ধরে ধারাবাহিকভাবে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের মূল্য ১৪.৮শতাংশ এবং আরবিডি পাম তেলের মূল্য ১৮.৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি না করে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা ও স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে সকল ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ধরনের শুল্ক অব্যাহতির ফলে ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি না করে বিদ্যমান মূল্য বহাল থাকবে বলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এসোসিয়েশন জানিয়েছে। এর আগে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করেন।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিকট প্রস্তাব বা সুপারিশ প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে এনবিআর করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান,বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানসহ ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।