ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর প্রথম দিকে ক্ষয়ক্ষতির খবর অস্বীকার করে ইসরায়েল। তেল আবিব দাবি করে, তাদের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তবে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে থাকে আসল খবর। প্রকাশ পায় ইসরায়েলের মারাত্মক দুর্বলতা।
জানা যায়, ইরানের নজিরবিহীন হামলায় ভেঙে পড়েছে ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে অনেকটা বেসামাল হয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। একের পর এক ইসরায়েলি টার্গেটে সফল আঘাত হানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। এর অন্যতম কারণ, ইসরায়েলের আকাশ রক্ষায় তাদের প্রতিরোধ মিসাইল ফুরিয়ে এসেছে।
এ ঘটনার পরম মিত্র ইসরায়েলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলে অত্যাধুনিক থাড মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থা বসানোর ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে ইসরায়েলের আকাশ আগের চেয়ে আরও সুরক্ষিত হবে বলে বিশ্বাস মার্কিন কর্মকর্তাদের।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টার্মিনাল হাই-অ্যাল্টিটুড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ব্যাটারি মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েলকে রক্ষায় এর ক্রুদেরও পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
গত পয়লা অক্টোবর চালানো ইরানি ওই হামলার কোনো জবাব এখনো দেয়নি ইসরায়েল। তবে যে কোনো সময় ইরানে হামলা চালাতে পারে তেল আবিব। এতে ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কাও রয়েছে। আর তাই আগেভাগেই সব প্রস্তুতি শেষ করছে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা।