রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত বেলারুশ ও এস্তোনিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং উগান্ডার অনাবাসিক হাইকমিশনার রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রথমে বেলারুশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মিখাইল কাসকো পরিচয়পত্র পেশ করেন। এরপর এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মারি লুপ এবং সবশেষে উগান্ডার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার জয়েস কাকুরামাতসি কিকাফানদো রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
নতুন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বেলারুশ, এস্তোনিয়া ও উগান্ডাসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ। রাষ্ট্রপতি এ সময় বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকস ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করে।
তিনি বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্যের আমদানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এসব দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি এ লক্ষ্যে বেলারুশ, এস্তোনিয়া ও উগান্ডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা। তিনি রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশ ও নিজ দেশের জনগণের উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক এগিয়ে নিতেও তারা কাজ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন ।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।