বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) একটি আদেশের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ মোট আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্তটি উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে। বাতিল হওয়া দিবসগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্কিত।
কোন কোন দিবস বাতিল হলো: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ (বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস), ৫ আগস্ট (শেখ কামালের জন্মদিন), ৮ আগস্ট (বঙ্গমাতার জন্মদিন), ১৫ আগস্ট (জাতীয় শোক দিবস), ১৮ অক্টোবর (শেখ রাসেল দিবস), ৪ নভেম্বর (জাতীয় সংবিধান দিবস), ১২ ডিসেম্বর (স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস)।
কেন বাতিল করা হলো: সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: ইউনেসকো দ্বারা বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃত এবং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দিন।
জাতীয় সংবিধান দিবস: ২০১৯ সাল থেকে পালিত হচ্ছিল এবং বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্ব তুলে ধরত।
স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস: ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য পালিত হতো।
এই সিদ্ধান্তের প্রভাব:
ঐতিহাসিক ঘটনা ও ব্যক্তিত্বদের প্রতি সম্মান: এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং ব্যক্তিত্বদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি প্রশ্ন উঠেছে।
জাতীয় একতা: এই সিদ্ধান্ত জাতীয় একতার উপর কি প্রভাব ফেলবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
সরকারের উদ্দেশ্য: সরকার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কী উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছে তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের এই সিদ্ধান্তটি দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক দৃশ্যপটে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে।