ইসরায়েল দাবি করেছে যে তারা স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর তথ্যানুযায়ী, বুধবার দক্ষিণ গাজায় চালানো এক অভিযানে তাঁকে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলের দাবি, তিনি ৭ অক্টোবরের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন, যেই হামলায় প্রায় ১,২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়
সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় হামাসের নেতৃত্বে ছিলেন এবং তার নেতৃত্বে সংগঠনটি বেশ কয়েকটি সশস্ত্র সংঘাতে অংশ নিয়েছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, এবং আজ আমরা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।”
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনওয়ার একটি ভবনে আত্মগোপন করেছিলেন যেখানে ইসরায়েলি ড্রোন তাকে চিহ্নিত করে। ঘটনাস্থলে তার কাছ থেকে একটি বন্দুক, একটি ভেস্ট এবং ৪০,০০০ শেকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে, ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে যে সেখানে কোনো জিম্মির উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি, যা পূর্বে ধারণা করা হয়েছিল। নেতানিয়াহু আরও বলেন, “যতদিন না আমাদের প্রিয়জনরা ফিরে আসে, ইসরায়েল তার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে।”
সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করতে কিছুটা সময় লেগেছিল, কারণ তার আঙুলের ছাপ এবং দাঁতের রেকর্ড যাচাই করা হচ্ছিল। এর ফলে তার দীর্ঘদিনের বন্দিত্বকালীন ইসরায়েলের জেনেটিক ডেটার সঙ্গে তার পরিচয় মিলে গেছে।
এই ঘটনাটি গাজায় চলমান সংঘাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে দাঁড়ালো, যেখানে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।