দ্বিতীয় সেশনের পানিপানের বিরতি পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে ভারতকে এগিয়ে রাখছিলেন অনেকেই। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার কীর্তি গড়ার পরেও দ্বিতীয় ইনিংসে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন। ৩৫৬ রানে পিছিয়ে থাকার পরেও ভারত হাল ছাড়েনি। পালটা লিড তারা নিয়েছিল ৩ ফিফটি আর ১টি ড্যাডি সেঞ্চুরির সুবাদে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ফিরতেও সময় নেয়নি।
৪০০ রান করার সময়েও ভারতের হাতে ছিল ৭ উইকেট। ঋষভ পান্তের ৯৯ আর সরফরাজ খান যখন ১৫০ রানে ফিরে যান তখনও আশা হারায়নি ভারত। নতুন বলে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা কিছুটা সুবিধা করলেও সেটা ভারতকে এতটাই গুটিয়ে দেবে তা ভাবেননি কেউই।
কিন্তু সেটাই হলো বেঙ্গালুরুতে। ৪ উইকেটে ৪৩৩ রান থেকে ৪৬২ রানেই অলআউট হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডের সামনে সিরিজের ১ম টেস্ট জয়ের জন্য দরকার ১০৭ রান। হাতে আছে আগামীকালের পুরো দিন।
২৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে খেলতে নামে ভারত। ৪র্থ দিনে পান্ত ও সরফরাজ যোগ করেন ১৭৭ রান। সরফরাজ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। পান্তও ছুটছিলেন ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরির দিকে। তাদের ব্যাটে ভর করেই লিড পায় ভারত। ৮০ ওভার শেষে আসে নতুন বল। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের শেষটাও ওখান থেকেই। পরের ২০ ওভারে ভারতকে রীতিমত দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
৪০৮ রানে সরফরাজ আউট হলে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। দলীয় ৪৩৩ রানের সময় ব্যক্তিগত ৯৯ রানে ফেরেন ঋষভ পান্ত। ম্যাট হেনরির বলে কাট করতে চেয়েছিলেন। বল চলে যায় ভেতরে। সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থাকতেই বোল্ড পান্ত। এর পরেই যেন উন্মুক্ত হয়ে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ।
আগের ইনিংসের মতো এবারেও খাটো লেন্থের বলে আউট হলেন লোকেশ রাহুল। উইল ও’ রুর্কির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচটা নিয়েছেন টম ব্লান্ডেল। এক ওভার পর ফের ও’ রুর্কির আঘাত। এই দফায় ফিরলেন রবীন্দ্র জাদেজা। ঘরের মাঠে ক্যারিয়ারের ৪৭ টেস্টে মাত্র চতুর্থবার দুই ইনিংসেই সিংগেল ডিজিটে ফিরলেন তিনি।
শেষ স্বীকৃত ব্যাটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফিরেছেন হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। রিভিউ নিয়েও বাঁচা হয়নি তার। ইনিংসের ১০০তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে তিনিই ফিরিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজকে। নতুন বল নেয়ার পর ২০ ওভারে ভারত তুলেছে ৬২ রান। উইকেট হারিয়েছে ৭টি।
১০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেই বৃষ্টির মুখে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪ বল করার পরেই আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন ফিল্ড আম্পায়াররা। এরপরেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। পরিস্থিতি অনুযায়ী, চতুর্থ দিনের খেলা আর মাঠে না গড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি।