ব্যর্থতার ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই তার ব্যাট যেন হাসতে ভুলে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া মিরপুর টেস্টেও ব্যাট হাতে (৭ ও ২৩ রান) ব্যর্থ তিনি, যা তার বিরুদ্ধে সমালোচনার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ক্রিকবাজ জানিয়েছে অধিনায়কত্ব থেকে সড়ে দাড়াচ্ছেন তিনি।
বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর নিজের পারফরম্যান্সে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শান্ত। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের দেশে ফেরার। শান্ত নিজেও জানিয়েছেন, ‘দেখা যাক কী হয়। কারণ আমি এখনও সভাপতির কাছ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শুনার অপেক্ষায় আছি।’
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সিরিজের পরেই শান্ত নেতৃত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন।
শান্তর বিকল্প হিসেবে এখন নতুন অধিনায়কের নাম নিয়ে চলছে আলোচনা। সম্ভাবনা রয়েছে যে, বাংলাদেশ এবার তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা অধিনায়ক বেছে নিতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, মেহেদী হাসান মিরাজ টেস্ট এবং ওয়ানডের দায়িত্বে আসতে পারেন, আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেতে পারেন তাওহীদ হৃদয়।
এর আগে সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার শান্তকে কেবল একটি ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এখন এটা শান্তর ক্ষেত্রে হয়েছে, পরবর্তীতে যে আসবে তার ক্ষেত্রেও হতে পারে। আমাদের সংস্কৃতিতেই এমন প্রবণতা আছে যে, অধিনায়ক হলেই আমরা তাকে চাপে ফেলে দেই। শান্তর জন্য তিনটি ফরম্যাটে নেতৃত্ব হয়তো কঠিন হতে পারে। কারণ আমরা প্রচুর ক্রিকেট খেলি এবং তিনটি ফরম্যাট একজনের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেই চাপ কমাতে একটি ফরম্যাটে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলে সমস্যা নেই। তবে নতুন অধিনায়ককে সহযোগিতা করতে হবে।’