ভারতে চলচ্চিত্র নির্মাণ একটি ব্যয়বহুল এবং লাভজনক ব্যবসা। প্রযোজনা থেকে শুরু করে কাস্টিং, ভিএফএক্স- সব মিলিয়ে একটি সিনেমা তৈরির পেছনে খরচ হয় কয়েক কোটি টাকা।
যে যত বড় তারকা, সেই ছবির বাজেট তত বেশি। তবে সুপারস্টার নিয়ে ছবি করা মানেই খরচের টাকা ফেরত আসবে তা বলা মুশকিল। অনেক সময় কয়েকশ কোটি টাকা কামানো ছবি থেকেও প্রযোজক লাভ করতে পারেন না। কারণ খরচের সংখ্যাটাও তেমনই ছিল।
কিন্তু জানেন কী, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বলিউডে একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল যে ছবি খরচের ০০.০১% টাকাও ঘরে তুলতে পারেনি। ৪৫ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত এই ছবি এখনও পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে বড় ফ্লপ সিনেমা হিসেবেই ধরা হচ্ছে। বক্স অফিসের সূত্রমতে, এই সিনেমা আয় করেছিল মাত্র ৬০ হাজার টাকা।
‘দ্য লেডি কিলার’ নামে সেই সিনেমায় অভিনয় করেন বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুর ও অভিনেত্রী ভূমি পেদনেকর।
অজয় বহেলের এই ক্রাইম থ্রিলার তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ভূষণ কুমারের টি-সিরিজের ব্যানারে। ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি দৃশ্য ফের শ্যুট করার জেরে ছবিটির বাজেট ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৫ কোটি টাকায়। কিন্তু মুক্তির পর দেখা গেল, প্রথম দিনে পুরো ভারতে মাত্র ২৯৩টি টিকিট বিক্রি হয় এই ছবির।
রিপোর্টে বলা হয়, দ্য লেডি কিলার অসম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছিল। ক্লাইম্যাক্সটি পুরোপুরি শ্যুট করা হয়নি। ছবির পরিচালক অজয় বহল প্রথমে একটি সাক্ষাৎকারে এই দাবিকে সমর্থন করলেও পরে পল্টি নেন।
দ্য লেডি কিলার গত বছর নভেম্বরে ভারতের মুষ্টিমেয় প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করেছিল। ট্রেড ইনসাইডারদের মতে, এর কারণ ছিল নির্মাতারা ডিসেম্বরে স্ট্রিমিং রিলিজের জন্য ওটিটি জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন।
ট্রেলার রিলিজ ছাড়া এই সিনেমার কোনো প্রচারকাজ হয়নি। ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় পর যেভাবে ভরাডুবি হয়েছিল সেসব দেখে নেটফ্লিক্সও একপর্যায়ে সরে দাঁড়ায়। স্ট্রিমিং রিলিজের চুক্তি বাতিল করে ওটিটি জায়েন্ট।
অবশেষে, দ্য লেডি কিলার ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইউটিউবে বিনামূল্যে মুক্তি পায়। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউটিউবে ছবিটি ২.৪ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে, তবে বেশিরভাগ মন্তব্যই নেতিবাচক।