আগামী ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ সফলের আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন চরমোনাইর পীর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক জনতার শ্রম ও ঘামের মাধ্যমে দেশের উন্নতি অগ্রগতি হলেও শ্রমিক-জনতাই বেশি বৈষম্যের শিকার। শ্রমিক-জনতাকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও শ্রমিকরা অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। তিনি শ্রমিক-জনতার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
শ্রমিক নেতা মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সরকারকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জনগণের সমর্থন নিয়ে উপদেষ্টা সরকার গঠিত। কাজেই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে।
তবে তিনি নিত্যপণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণহীণতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলছে। যা বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। সাধারণ মানুষকে বাঁচতে দিতে হবে। এ জন্যে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতেই হবে। সরকার উদ্যোগ নিলে জনগণ পাশে থেকে সাহায্য করবে। যেভাবে জুলাই বিপ্লবে সাধারণ মানুষ নেমেছিল প্রয়োজনে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতেও মানুষ নেমে আসবে।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, আলহাজ্ব ওয়াইজ হোসেন ভূঁইয়া, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি মোস্তফা কামাল, এইচ এম রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, শরিফুল আলম চৌধুরী, মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ্ব মোসাব্বির রুনু, মাওলানা শাহ জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ,আলহাজ্ব হায়দার আলী, কে এম বিলাল, অধ্যাপক আব্দুল করিম, মুফতি মাশরুক তাসফিন, মাওলানা এইচএম সাইফুল ইসলাম, হাজী মো. শাহিন আহমেদ, আলহাজ্ব শাহজাহান ভূঁইয়া, হাজী আব্দুর রহমান দুলাল, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আইয়ুব আলী চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে চলমান প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলন নিয়ে বিশদ আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়। সেইসাথে আগামী ৩ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় জাতীয় কাউন্সিল সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।