হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মার্কিন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জটিল হিসাব-নিকাশের মার্কিন এই নির্বাচনে কার কপাল খুলবে তা জানতে হয়তো দুই-এক দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের ইলেক্টোরাল ভোট সমান হলে তা আরেক নির্বাচনে গড়াবে।
বিশ্বের সব দেশে সরাসরি জনগণের ভোটে নেতা নির্বাচিত হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এটা ভিন্ন, সেখানে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এবার প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ায়, দুই প্রার্থীই যদি কোনো কারণে সমান সংখ্যক ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পান, তাহলে কী ঘটবে?
ইলেক্টোরাল ভোটে যদি কোনো প্রার্থী এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান, সেক্ষেত্রে মার্কিন আইন সভার নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস’ বা প্রতিনিধি পরিষদ ভোট দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা শীর্ষ তিন প্রার্থীর মধ্য থেকে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাছাই করেন। বাকি দুইজন প্রার্থীর মধ্য থেকে একজনকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেয় দেশটির সিনেট।
তবে মার্কিন ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা একবারই ঘটেছে। ১৮২৪ সালে এভাবেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জন কুইনসি অ্যাডামস। তবে বর্তমানে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যে আধিপত্য রয়েছে, তাতে তেমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।