রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কমালা হ্যারিসের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
যদিও সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট তৃতীয় নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে পাওয়া বিজয়ের পর বুধবার ‘‘আমেরিকার সোনালী যুগের’’ সূচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু বৈশ্বিক বিভিন্ন কর্পোরেশন ও বিনিয়োগকারীর জন্য যেকোনও স্বল্পমেয়াদী ফায়দা অবশ্যই তার কর্তৃত্ববাদী প্রবৃত্তি এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে। তার এই বিজয় ইতোমধ্যে ভঙ্গুর বৈশ্বিক ভারসাম্যকে আরও ঝুঁকিতে ফেলেছে।
আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়ীদের শুল্ক হ্রাস, নিয়ন্ত্রক সংস্থার জোরাল পদক্ষেপ এবং আদালতের অনুকূল সিদ্ধান্ত বিষয়গুলোকে জটিল করে তুলতে পারে।
আগামী বছর কর্পোরেট করের হার ২১ শতাংশের বেশি করার সম্ভাবনা এখন কার্যত শূন্য। যদিও হ্যারিস এই হারকে ২৮ শতাংশে উন্নীত করতে চেয়েছিলেন। সিনেটে রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ।
রিপাবলিকানরা তাদের প্রথম মেয়াদে সেটি করতে ব্যর্থ হওয়ার পর বিভক্ত সরকার ট্রাম্পের পক্ষে অ্যাফর্ডবেল কেয়ার অ্যাক্ট সংশোধন করায় বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে দেশটির ব্যাংকিং খাত ও বাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হলে তা নতুন নিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে; যারা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের চেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারেন। এছাড়া ক্রিপ্টো শিল্প সম্ভবত দীর্ঘ-আকাঙ্ক্ষিত বৈধতা পেতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে।
ডোনাল্ড টাম্পের জয়ে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে ডলার ও বিটকয়েনের দরে উল্লম্ফন দেখা গেছে। পুরো বিশ্বব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রীক হওয়ায় ট্রাম্পের এই জয় সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্বের অর্থনীতি, সংঘাত, বাজার ব্যবস্থা এবং আরও বহুকিছুর ওপর প্রভাব ফেলবে এই নির্বাচনের ফল।