ক্রিকেটে আফগানিস্তান এখন আর ছোট দল নয়। যা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করেছে রশীদ খান- মোহাম্মদ নবীদের দেশ। শেষ ৫-৭ বছরে যে উন্নতি করেছে আফগানরা সেটা যে কোনো দেশের কাছে ঈর্ষণীয় বটে। শুধু কি ঈর্ষণীয়? না, আফগান ক্রিকেটের উথ্যানকে যে কোনো ক্রিকেট ন্যাশন অনুপ্রেরণা হিসেবেও নিতে পারে। নেয়া উচিত। বাংলাদেশও নিলেও দোষের কিছু থাকবে না।
এক সময় আফগানিস্তান ছোট দল ছিল। আর সেই ছোট দলের বড় তারকার নাম ছিলেন মোহাম্মদ নবী। আইপিএল থেকে শুরু করে বিপিএল কিংবা ক্রিকেটের অন্য যে কোনো লিগে মোহাম্মদ নবী যেন নিয়মিত নাম। নিজের দেশ তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটে যাকে হাইলি রেট করা হয় সেই নবী ওয়ানডে থেকে অবসরের ডাক দিলেন। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ৫০ ওভারের এই ফরম্যাটটাকে বিদায় জানাবেন। এমনটাই আশা রেখেছেন নবী। ক্রিকেট পাড়ায় যেটা এখন ব্রেকিং নিউজ।
মোহাম্মদ নবীর আনুষ্ঠানিক অবসরের ঘোষণার কথা শুনে আপনার একটু খারাপ লাগতেই পারে। হ্যা যেহেতু বিদায় নিচ্ছেন নবী একজন ক্রিকেট ভক্ত হিসেবে আপনার খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। তাছাড়া নবীর যে অসংখ্য ভক্তও রয়েছে লাল-সবুজের দেশে, সেটাও কারণ হতে পারে। তবে এই খারাপ লাগাটা অন্যরকম। কেমন সেটা একটু আলোচনাতেই যাওয়া যাক।
মোহাম্মদ নবী যেমন আফগানিস্তানের পোস্টার বয় তেমনই সাকিব আল হাসানও বাংলাদেশের ক্রিকেটে নক্ষত্র সমান। দেশের ক্রিকেটে সাকিবের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। কথা ছিল চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পর সাকিবও অবসর নেবেন ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে। দুই দেশের দুই লিজেন্ডের বিদায় হতে পারতো একই রকম মঞ্চে। তবে সাকিবের অবসর নেয়া তো দূরের কথা চ্যাম্পিয়ন ট্রফিই খেলা হবে কিনা তার সেটা নিয়েই আছে হাজার প্রশ্ন।
প্রশ্নটার উত্তর খোঁজা শুরু হয়ে গেছে শারজায় আফগানিস্তানের সাথে স্কোয়াডে সাকিবের নাম না দেখে। চারদিকের খবর এটাই যে সাকিব নাকি নিজে থেকেই এই সিরিজে নাম দেননি। এছাড়াও বাতাসে গুঞ্জন ভাসছে সাকিব চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও খেলবেন না, এমন খবর। যদি এমনটাই হয়, তাহলে দেশের ক্রিকেটে আরও এক কিংবদন্তির মাঠ থেকে বিদায় নেয়া হচ্ছে না।
সাকিব তার শেষ টি-টোয়েন্টিটা খেলে ফেলেছেন বিশ্বকাপেই। যদিও ফেরার একটা আভাস দিয়ে রেখেছেন। তবে ফেরা যে হবে না সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের মাটিতে অবসর নিতে চেয়েও পারেননি। কেন পারেননি সেটা কারও অজানা নয়। আর ওয়ানডের অবসরটা পেন্ডুলামে ঝুলছে। হয়তো এই ফরম্যাটাতেও অজান্তেই অবসর হয়ে গেছে সাকিবের, হয়তো না। তবে আফসোস হয় অন্য দেশের ক্রিকেটাররা যখন বলে-কয়ে, আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেন, তখন দেশের কিংবদন্তি সমতুল্য ক্রিকেটাররা কীভাবে অথবা কবে অবসর নেবেন সেটাই জানা থাকে না কারই। দোটানাটা থেকেই যায়।