উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে একটি গাড়ি থেকে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তিদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরে এই ঘটনা ঘটে।
শহরটি সহিংসতায় বিপর্যস্ত বলে জানা গেছে। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ মেক্সিকোর একটি শহরে গাড়ির ভেতর থেকে দুই শিশুসহ ১১ জনের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। সহিংসতায় বিপর্যস্ত ওই শহরের নাম চিলপানসিঙ্গো। গুয়েরেরো প্রদেশের এই শহরের মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন পরেই গত মাসে তার শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।
নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি এবং মামলাটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে একটি পরিত্যক্ত পিক-আপ ট্রাকের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর পুলিশকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়।
বিবিসি বলছে, মৃতদেহ সম্বলিত ট্রাকটি আকাপুলকোর একটি মহাসড়কে পাওয়া গিয়েছে। এটি ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে ধনী ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের কাছে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল, কিন্তু তারপর থেকে এটি ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের স্থান হিসেবে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি মাদক পাচারের হটস্পট হয়ে ওঠে।
মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল চোরাচালান রুটে অবস্থানের কারণে গুয়েরেরো মেক্সিকোর অন্যতম সহিংস প্রদেশ হিসেবে পরিচিত। গত বছর এই প্রদেশে ১৮৯০টি খুনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
আর চিলপানসিঙ্গো শহরে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ বাস করেন এবং এই শহরটি দীর্ঘকাল ধরে আরডিলোস এবং তলাকোস নামে দুটি ড্রাগ গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে।
এছাড়া মেক্সিকোতে গত ২ জুনের নির্বাচনের দৌড়ে থাকা কমপক্ষে ছয়জন প্রার্থী নিহত হয়েছেন। গত মাসে চিলপানসিঙ্গোর মেয়র আলেজান্দ্রো আরকোসকে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, উত্তর আমেরিকার এই দেশটির সরকার মেক্সিকান সামরিক বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে বিতর্কিত মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করার পর ২০০৬ সাল থেকে সারা দেশে ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার লোক।