রাজধানীর ধানমণ্ডি লেকে রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন ক্যাফেটেরিয়ার চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত সাত শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে সেখানকার কর্মচারীরা। আহত শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল, পপুলার ও সিটি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বুধবার (৭ নভেম্বর) আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডি লেকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের সাব্বির, একই ব্যাচের মেহেদী, মাসুদ, শাকিল ও সাইদ। ২০১৭-১৮ সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ধানমণ্ডি লেকে ঘুরতে যান। সেখানে এক ক্যাফেটেরিয়ার খালি চেয়ারে বসেন। সে সময় ক্যাফেটেরিয়ার এক কর্মচারী অর্ডার নিতে বলেন। শিক্ষার্থীরা তাদের আরও বন্ধু এলে অর্ডার নিবে বলে ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজারকে জানান। কিন্তু নতুন কাস্টমারের সমস্যার কথা বলে কর্মচারী শিক্ষার্থীদের চেয়ার ছেড়ে দিতে বলেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের পরিচয় দিলে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর ঢাকা কলেজের ছয়জন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেন তারা।
এরপর বিষয়টি ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে গেলে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা নিয়ে ধানমণ্ডি লেকে যান। ক্যাফেটেরিয়ার কর্মচারীদের না পেয়ে আশপাশের দোকান ভাঙচুর করে কলেজে ফেরত আসেন শিক্ষার্থীরা।
আহত শিক্ষার্থী সাব্বির বলেন, ঢাকা কলেজের ৫/৬ জন বড় ভাই ক্যাফেটেরিয়াতে বসতে গেলে কর্মচারীরা তাদেরকে উঠিয়ে দেয় এবং ঢাকা কলেজের পরিচয় দিলে গালাগালি শুরু করেন। এ সময় মেসেঞ্জার গ্রুপে বিষয়টি জানালে আশপাশ থেকে ১৭/১৮ জন জড়ো হই। আমরা গেলে ক্যাফেটেরিয়ার লোকজন মারধর করেন। আমরা ৬/৭ জন আহত হই। সবাই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহত আরেক শিক্ষার্থী সোহেল বলেন, আমরা বন্ধুরা সরোবরের ক্যাফেটেরিয়ার খালি টুলে বসি। এ সময় ওয়েটার বলেন যদি কিছু খান তাহলে বসেন। আমরা ওয়েটারকে বললাম কাস্টমার আসলে ওঠে যাব। তখন আমি ম্যানেজারকে ঢাকা কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী পরিচয় দেই। সে সময় ম্যানেজার কলেজের নামে গালাগালি শুরু করেন। এরপর ক্যাম্পাসের ছোট ভাইয়েরা তর্কাতর্কি করেন। এক পর্যায়ে আমাদের মারধর করেন।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস কালবেলাকে বলেন, আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দিয়েছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি।