যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন তিনি। তবে রাজনৈতিক জীবন নয় বরং বিলিয়নিয়র ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন ব্যক্তিগত তথা বৈবাহিক জীবন নিয়ে।
নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হওয়ার পর নিজের পাম বিচ কাউন্টি কনভেনশন সেন্টারে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে সবকিছুর জন্য তিনি তার বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।
বর্তমানে মেলানিয়ার সঙ্গে সংসার করলেও ট্রাম্পের বৈবাহিক জীবন শুরু হয় ইভানা ম্যারির সঙ্গে। কানাডা থেকে ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসার পর ট্রাম্প ও মডেল ইভানার প্রথম পরিচয়। পরের বছরই তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ের ১৫ বছর যেতে না যেতেই খ্যাতনামা সুন্দরী মার্লা ম্যাপলসের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ট্রাম্প। এরই জের ধরে ১৯৯০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে ট্রাম্প ও ইভানার। তবে মায়ের বিদায় হলেও বাবার কাছেই থেকে যান এই ঘরের তিন সন্তান ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিক।
বিবাহবিচ্ছেদ হলে ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক জোরালো হয় মার্লা ম্যাপলসের। ১৯৯৩ সালে মার্লা একটি কন্যাসন্তান টিফানির জন্ম হয়। কিন্তু সেসময় ট্রাম্প জানান, ২য় বারের মতো বিয়ের পরিকল্পনা নেই তার। তবে এর কয়েকদিন পর ঠিকই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ট্রাম্প। ছয় বছর যেতে না যেতেই ১৯৯৯ সালে এই সংসারেরও ইতি ঘটে।
মার্লা তাদের বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ট্রাম্প তার সন্তান লালন-পালন সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রাখতেন। তবে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে যায়। এমনকি ২০২৩ সালে টিফানির বিয়ের অনুষ্ঠানে একসাথে দেখা যায় ট্রাম্প ও মার্লার।
২য় বিবাহবিচ্ছেদের পর ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক হয় স্লোভেনিয়ার সুন্দরী মেলানিয়ার। জানা যায়, ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কে একটি ফ্যাশন উইক পার্টিতে তাদের ১ম দেখা। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে প্রেমের পর ২০০৫ সালে বিয়ে করেন মেলানিয়া ও ট্রাম্প। বর্তমানে ট্রাম্প তার সঙ্গেই আছেন।
মেলানিয়া এবং ট্রাম্পের বয়সের পার্থক্য ২৪ বছর। এই ঘরে একমাত্র পুত্রসন্তান ব্যারন। বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে এক ছাদের নিচেই ঘর করছেন তারা। যদিও এ সময়ের মধ্যে অসংখ্য বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে মুখোরোচক সমালোচনা আর বদনাম কুড়িয়েছেন ট্রাম্প।