ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় বড়বদল করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়টি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়টি নেসেটে অনুমোদন করা হয়েছে। দেশটিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েল কাটজ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গিডিয়ন সারকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, পার্লামেন্টে ৫৮-০ ভোটে এটি অনুমোদন পেয়েছে। অন্যদিকে এ বিরোধীরা ভোটাভুটির আগে পার্লামেন্ট কক্ষ ত্যাগ করেছেন।
এর আগে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ বরখাস্তের আদেশ দেন তিনি। যুদ্ধের সময় পারস্পরিক বিশ্বাসের অভাবকে এ পদক্ষেপের পেছনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু।
ওই সময় দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, গ্যালান্টের স্থলাভিষিক্ত হবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। অন্যদিকে গিডিয়ন সার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাটজের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
একটি সংক্ষিপ্ত চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, রাত ৮টার দিকে এক বৈঠকে গ্যালান্টকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে নেতানিয়াহু তাকে জানিয়েছিলেন, এই চিঠি প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টা পর বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হবে।
চিঠিটির শেষে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আপনার পরিষেবার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই’।
মঙ্গলবারের ঘোষণাটির মাধ্যমে দুই বছরের কম সময়ে দ্বিতীয়বার নেতানিয়াহু গ্যালান্টকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করলেন। এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নেতানিয়াহু গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেন।
যদিও এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে পুনর্বহাল করা হয়েছিল এবং গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যখন দক্ষিণ ইসরায়েলে তার মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলা চালায় তখন তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নানা বিতর্ক এড়িয়ে গাজা উপত্যকায় পরবর্তী যুদ্ধের সময়ও তিনি পদে বহাল ছিলেন। এরই মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এ অভিযানে বহু ইসরায়েলি সেনা হতাহত হচ্ছে।