পেশিশক্তি প্রদর্শন করে একটি পক্ষকে কোণঠাসা করা অগণতান্ত্রিক আচরণ। এটি জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। এ ধরনের কাজের ফলে জুলাই-আগস্টে গণতন্ত্রকামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হওয়া জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টার সাঁটানোর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনার সমালোচনা করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
সবাইকে সহনশীল আচরণ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনা শুধু বিএনপি বা ছাত্রদলের নয়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী, আধিপত্যবাদবিরোধী প্রতিটি নাগরিকের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক বিপ্লবের মুহূর্ত। বিপ্লবী সিপাহি-জনতার দেশপ্রেমে সেদিন রক্ষা পেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।…ফলে ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল দিন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ছাত্রদল ৭ নভেম্বর উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে পোস্টার লাগিয়েছে। এতে সংক্ষেপে ৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে। এটা কোনো ব্যক্তিগত প্রচার-প্রচারণা বা দলীয় কর্মসূচির প্রচারণা ছিল না। জাতির একটি ঐতিহাসিক বিপ্লবের স্মরণে একটা ক্যাম্পেইন হয়েছে। ছাত্রদলের সঙ্গে আপনার মতবিরোধ থাকতে পারে, পোস্টারিংয়ের ধরন নিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে। এটি একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ৷ কিন্তু বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের পোস্টার ছিঁড়ে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন সমীচীন কাজ নয়। পোস্টার ছেঁড়ার জন্য আপনি মব তৈরি করতে পারেন না। ছাত্রদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে মব উসকে দিতে পারেন না। এভাবে পেশিশক্তি প্রদর্শন করে একটি পক্ষকে কোণঠাসা করা অগণতান্ত্রিক আচরণ, যা জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের স্পিরিটের পরিপন্থি।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে আরও বলেন, আমাদের সজাগ থাকতে হবে যাতে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে পরাজিত অপশক্তি কোনো সুবিধা হাসিল করতে না পারে। জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের অংশীদার সব ছাত্রসংগঠনকে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। পরমতসহিষ্ণুতা গণতন্ত্র চর্চার প্রাথমিক শর্ত। আমরা সবাইকে সহনশীলতা বজায় রাখার অনুরোধ করছি।