পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে মনোয়ার হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় পরকীয়া প্রেমিকার বাড়ি থেকে আটক হন তিনি।
ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভাউলা পাড়া এলাকার আইজুল মাস্টারের ছেলে। তিনি সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার মধ্যরাত রাতে সদর ইউনিয়নের হাজিপাড়ায় পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসেন ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন। পরকীয়া প্রেমিকার শিশু সন্তান কান্নাকাটি করলে তার দেবর দরজার কাছে গিয়ে পুরুষ মানুষের কণ্ঠ শুনতে পান। পরে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখেন গৃহবধূর বিছানায় ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন শুয়ে আছেন। এসময় তাকে হাতে নাতে আটক করে এলাকাবাসী।
গৃহবধূর দেবর রনি ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজি কান্নাকাটি করলেও ভাবির কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় আমি বিছানা থেকে উঠে আসি। পরে আমি শুনতে পাই ভাবির ঘরে পুরুষের কণ্ঠ। আমি মাকে জিজ্ঞেস করি ভাই বাসায় আসছে কি না। তিনি বলেন, সে তো বাসায় আসেনি। আমি ভাবির ঘরের দরজার পাশে দাঁড়ালে পুরুষ মানুষের কণ্ঠ শুনতে পাই। পরে আমি প্রতিবেশী কয়েকজনকে ডেকে আনি। ভাবি দরজা খুললে ইউপি সদস্য মনোয়ারকে ঘরের ভেতর পাই।
গৃহবধূ বলেন, মনোয়ারের সঙ্গে আমার দুই বছরের সম্পর্ক। রাতে আমার বাসায় দেবর ও শাশুড়ি ছিল। মনোয়ার আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়, আমি নিষেধ করলেও সে রাতে ও আমার বাসায় থেকে যায়। এ ঘটনার পর আমার স্বামী যদি আমাকে না নেয়, আমি মনোয়ারের কাছেই চলে যাব।
পরকীয়া সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, আমাকে সে রাতে ফোন দেয়। আমি তার সঙ্গে দেখা করতে আসলে আমাকে তারা আটকে রাখে। আমি আর বেশি কিছু বলতে পারব না।
দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গৃহবধূর স্বামী ঢাকা থেকে এলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার স্বামী ছাড়া আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।