অন্তর্বর্তী সরকারে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে পাঁচজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।
এ সময়ের মধ্যে পাঁজজন উপদেষ্টা নিয়োগের আশ্বাস না দেওয়া হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
সমন্বয়কদের দাবি, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দাবানল রংপুর থেকে ছড়িয়ে পড়লেও উত্তরাঞ্চল বৈষম্যের শিকার। শুধু একটি বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হলেও রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে কোনো উপদেষ্টা নেওয়া হয়নি। এটি উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য স্পষ্টভাবে বৈষম্য।
জাতীয় নাগরিক কমিটির রংপুরের সমন্বয়কারী আলমগীর নয়ন বলেন, যাদের সঙ্গে এই গণঅভ্যুত্থানের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই তাদেরকে উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে। অথচ রংপুর ও রাজশাহীর ১৬ জেলায় কোনো যোগ্য লোক পাচ্ছে না। এ অঞ্চলের উন্নয়ন বৈষম্য তুলে ধরার কোনো প্রতিনিধি থাকছে না উপদেষ্টা পরিষদে। অথচ শেখ হাসিনা সরকারের জুলুম-নিপীড়নের শিকার এই বিপ্লবের অন্যতম নায়ক উত্তরাঞ্চলের সন্তান আক্তার হোসেনকে তাদের চোখে পড়ছে না। আক্তার হোসেনসহ এই অঞ্চল থেকে অন্তত ৫ উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিও জানান তিনি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ বলেন, রংপুর বরাবরের মতো এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে সরিয়েছি। এখনও বৈষম্যের বিপক্ষে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। আগামী কালকের (আজকের) মধ্যে উত্তর অঞ্চল থেকেও প্রতিষ্ঠান নিয়োগের আশ্বাস না পেলে বুধবার জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পরে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
এ সময় বক্তব্য দেন, ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ হাসান খন্দকার, ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি, রিফাত হাসান প্রমুখ।