জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মমিনুল ইসলাম হৃদয়ের ২৫তম জন্মদিনে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সারজিস আলম।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ৩টায় শহীদ হৃদয়ের মিরপুরের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব ও মিরপুর পল্লবী শাখা কমিটির সদস্যরা।
১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন হৃদয়। বাবা-মা ও ছোট দুই বোনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন হৃদয়। পরিবারের আর্থিক উন্নতির জন্য বাবার সঙ্গে ভ্যানে সবজি বিক্রি করতেন তিনি। বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শহীদ হৃদয় ২২টি চাকরির আবেদন করেন কিন্তু কোথাও চাকরি হয়নি তার। এরই প্রেক্ষিতে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে আন্দোলনে সম্মুখসারিতে থেকে অংশ নিয়ে শহীদ হন তিনি।
পরে আওয়ামী লীগের নেতারা শহীদ হৃদয়ের বাবাকে উল্টো বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে চাপ প্রয়োগ করলেও তিনি তা করেননি। বরং পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দিতে চান তিনি।
শহীদ হৃদয়ের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ সময় তার কবর সংরক্ষণ এবং তার পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। এর আগে তার পরিবারকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।