একাদশে অনিয়মিত হলেও এতোদিন অফিসিয়ালি জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন জামাল ভূঁইয়া। লাল-সবুজ জর্সিতে জামাল ভূঁইয়ার অধিনায়কত্ব শেষ হল। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে অফিসিয়ালি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তপু বর্মণ।
দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশের গোলবারের নিচে আছেন মিতুল মারমা। রক্ষনে অধিনায়ক তপু বর্মনের পাশে শাকিল আহাদ তপু, সাদ উদ্দিন এবং ঈসা ফয়সাল। মাঝমাঠে মোহাম্মদ হৃদয়ের সঙ্গে দায়িত্ব সামলাবেন সোহেল রানা এবং সৈয়দ কাজেম শাহ কিরমানী। আক্রমণভাগে শেখ মোরসালিনের সঙ্গী হিসেবে থাকবেন রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বুধবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস। একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৬ নভেম্বর। সর্বশেষ দুই হোম ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক ফুটবলের ছক কষছে।
দুই দলের ১৮ মোকাবিলায় জয়ের পাল্লা বাংলাদেশের দিকে ঝুকে আছে—৭ ম্যাচ জিতেছে লাল-সবুজরা। মালদ্বীপ জিতেছে ৬ ম্যাচ। বাকি ৫ ম্যাচ শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে। দুই দলের সর্বশেষ মোকাবিলা হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে। বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইয়ে বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ গোলে। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের তুলনায় মালদ্বীপের ফল ইতিবাচক। শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটি হেরেছে বাংলাদেশ, একমাত্র জয় ভুটানের বিপক্ষে। শেষ পাঁচ ম্যাচে মালদ্বীপের তিন হারের দুটিই বাংলাদেশের কাছে। একমাত্র জয় ভুটানের বিপক্ষে, আরেক ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করেছিল দেশটি। ম্যাচের আগে বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা বলছিলেন, ‘আমি চাই, ছেলেরা সমর্থকদের জন্য খেলুক, দায়িত্ব নিয়ে খেলুক এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো পারফরম্যান্স করুক।’ স্প্যানিশ এ কোচ আরও বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা শুরুতে কয়েকজন নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছি, পরে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা যোগ দিয়েছেন। ফরটিজ এফসির বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি, যেটা ছিল ইতিবাচক ব্যাপার।’
বাংলাদেশের একাদশ: মিতুল মারমা (গোলকিপার), তপু বর্মন, শাকিল আহাদ তপু, সাদ উদ্দিন, ঈসা ফয়সাল, মোহাম্মদ হৃদয়, সোহেল রানা, সৈয়দ কাজেম শাহ কিরমানী, শেখ মোরসালিন, রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।