যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার দীর্ঘদিনের উত্তেজনার মধ্যেই এবার ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক গোপন বৈঠক করেছেন ইলন মাস্ক। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানায়।
ইরানের একাধিক অজ্ঞাতনামা সূত্র উদ্ধৃত করে মার্কিন পত্রিকাটি বলেছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের মাস্ক ও ইরানি রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানির মধ্যকার এ বৈঠক ছিল ‘ইতিবাচক’। গত সোমবার (১১ নভেম্বর) একটি গোপন স্থানে আমির সাঈদ ও ইলন মাস্কের মধ্যে এক ঘণ্টার বেশি ওই বৈঠক চলে। তখন সেটি গোপন থাকে।
ইরানের এক কর্মকর্তা জানান, ইলন মাস্কের অনুেরাধে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একজন ঊর্ধ্বতন ইরানি কর্মকর্তা এবং ইলন মাস্কের মধ্যে সরাসরি বৈঠক ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক পরিবর্তনের সম্ভাবনার প্রতি ইঙ্গিত দেয়। যদিও গত মেয়াদে উগ্র ইরান বিদ্বেষী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিলেন ডেনাল্ড ট্রাম্প। সাক্ষাতকালে ইরানি রাষ্ট্রদূত ইরাভানি জানান ইলন মাস্কের কিছু ব্যবসা তেহরানে নিয়ে আসা উচিত।
সম্প্রতি ইলন মাস্ককে সরকারি ব্যয়, আমলাতন্ত্র ও নিয়ন্ত্রণ কমানোর উদ্দেশ্যে দায়িত্ব প্রদান করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ লক্ষ্যে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ গঠন করার কথা জানান নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে নতুন এ মন্ত্রণালয়ের কাজ কী হবে তা নিয়ে এখনও সঠিক রূপরেখা পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়োগ মাস্ককে সরকারি নীতির ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিয়েছে।