আইসিসির বিধান মেনেই একটা পর্যায়ে নারী ক্রিকেট দল গঠন করেছিল আফগানিস্তান। যদিও এই ব্যাপারে বিরোধিতা ছিল তালেবানদের। পরবর্তীতে অবশ্য তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বন্ধ করে দেয়া হয় দেশটির নারী ক্রিকেটে। সেইসঙ্গে দেশ ছেড়ে চলে যান আফগানিস্তানের নারী দলের প্রায় সব সদস্য। বর্তমানে দলটির অনেকেই আছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
এবারে সেখানেই ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন আফগানিস্তানের নারী ক্রিকেটাররা। স্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে শরণার্থী দল হিসেবে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত আফগানিস্তানের মেয়েরা। অ্যাশেজের আগে এমন আয়োজনে তাদের সহায়তা করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
আফগানিস্তানের নারী ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই বর্তমানে বসবাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ও মেলবোর্নে। পুরোপুরি দল বানাতে না পারলেও তাদের অনেকে স্থানীয় ক্লাবে ক্রিকেট খেলছেন নিয়মিতই। তাদেরকে নিয়েই এবার পূর্ণ দল গঠন করা হচ্ছে আফগানিস্তানের নারী দলের জন্য।
আফগানিস্তান ছেড়ে আসা শরণার্থীদের নিয়ে বানানো আফগানিস্তান ওমেন্স একাদশের সঙ্গে খেলবে ক্রিকেট উইথআউট বর্ডার্স একাদশ। আগামী ৩০ জানুয়ারি মেলবোর্নের জংশন ওভালে হবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। একই দিনে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুরু হবে মেয়েদের দিবা-রাত্রির অ্যাশেজ। এমন ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে খুশি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের এই কর্মকর্তা জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসার পর থেকে আফগানিস্তান নারী দলের সদস্যদের সমর্থন দেয়ার জন্য ক্রিকেট এবং অন্য সম্প্রদায়ের অনেক লোক একসাথে হয়েছে এবং ম্যাচটি সেই কাজেরই উদযাপন হিসেবে। আমি আনন্দিত যে প্রদর্শনী ম্যাচে তাদের একসাথে খেলার ইচ্ছে পূরণ হবে। যা কিনা দিবা-রাত্রির অ্যাশেজের অন্যান্য ইভেন্টের সঙ্গে দারুণ এক সংযোজন হবে।’
চলতি বছরের শুরুতে আইসিসির কাছে চিঠি লিখেছিলেন আফগানিস্তানের চুক্তিবদ্ধ ১৭ নারী ক্রিকেটার। তালেবানরা দেশে ক্রিকেট বন্ধ করে দেয়ায় অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক শরণার্থী দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তারা।
তবে আইসিসি এখনও তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কোনো রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। অস্ট্রেলিয়া সরকারের সাহায্যে উদ্যোগ নিয়েছে সিএ। গত ১২ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া ইউনিসেফের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সিএ। লিঙ্গ সমতা রক্ষায় ইউনিসেফের ক্যাম্পেইন “প্রতিটি মেয়ের খেলতে না পারা পর্যন্ত” বাস্তবায়নে কাজ করবে দুই পক্ষ।