নিজেদের তৈরি প্রথম দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। গতকাল শনিবার ওড়িশা রাজ্যের নিকটবর্তী ড. এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রতি সেকেন্ডে ৩৩১ দশমিক ২৩ মিটার। যেসব ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, সেগুলোকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বলা হয়। শনিবার ড. এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপে যে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, সেটি শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে গিয়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীণ সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।
ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি এবং পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সার্বিক দায়িত্ব ছিল ডিআরডিও এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অপর সংস্থা ড. এপিজে আবদুল কালাম মিসাইল কমপ্লেক্সের ওপর। এই সংস্থাটির সদর দপ্তর ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে অবস্থিত। এই দুই সংস্থা যুগ্নভাবে এর আগেও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে।
এদিকে শনিবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ ঘটনাকে ভারতের ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে গত মাসে নিজেদের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত।
প্রসঙ্গত রাশিয়া, চীন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের খুব অল্প কিছু দেশ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকারী। কয়েক মাস আগে উত্তর কোরিয়া নিজেদের তৈরি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি।