প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ম্যাচটি ছিল জয়ে ফেরার। এমন ম্যাচে খেলতে নেমে দারুণ এক জয়ই তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। আগে ব্যাত করতে নেমে ইংলিশরা পেয়েছিল বড় সংগ্রহ, সল্টের ৫৫ আর জ্যাকব বেথেলের ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৫ উইকেটে ২১৮ রানের সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ক্যারিবীয় ওপেনারও ঝড় তুলেছিলেন। এভিন লুইস ও শাই হোপ মিলে উদ্বোধনী জুটিতেই স্কোরবোর্ডে তোলেন ১৩৬ রান। তবে এরপরই বাঁধে বিপত্তি। দশম ওভারের প্রথম তিন বলেই ৩ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা, একে একে লুইস, হোপ ও নিকোলাস পুরাণ সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ থেকেছিটকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয় স্বাগতিকদের। তবে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের জিতিয়েছেন রোভম্যান পাওয়েল ও শেরফান রাদারফোর্ড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৬ রান তুলেন লুইস-হোপ জুটি। ২৩ বলে ফিফটি করেন হোপ, লুইস ফিফটি করেন ২৬ বলে। এ দুজনের মারকুটে ব্যাটিগয়ে প্রথম ৬ ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহে যোগ হয় ৬৯ রান। ইংলিশ বোলারদের তুলোধুনো করে স্কোরবোর্ডে দ্রুত রান তুলছিলেন দুই ওপেনার।
তবে দশম ওভারে এক ঝড়ে আউট হন ক্যারিবীয়দের ৩ ব্যাটার। রেহান আহমেদের করা প্রথম বলে ড্যান মৌসলির মুঠোবন্দী হয়ে আউট হন লুইস। সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে ৭ ছয় আর ৪ চারে তিনি করেন ৬৮ রান। এরপরের বলেই রান আউট হন হোপও। দুই ওপেনার ফেরার পর ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হন নিকোলাস পুরাণ।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়লেও ক্যারিবীয়দের জয়ের বন্দরে ভেড়ান অধিনায়ক পাওয়েল ও রাদারফোর্ড। এ দুজনও কাল খেলেছেন মারকুটে ইনিংস, ২৩ বলে ৩৮ রান করে পাওয়েল আউট হলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন রাদারফোর্ড। তার ১৭ বলে ২৯ রানের সুবাদেই ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।