‘তিন বছর চলে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় আজও আমাকে মাথা গোঁজার ঠিকানা করে দিতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি আমাদের দুঃখ না বোঝে তাহলে আর কিছু বলার নেই। প্রান্তিক পর্যায় থেকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) পড়তে এসেছি। নোয়াখালী শহরে মেস ভাড়া অনেক বেশি। আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পক্ষে মাসিক ১৪০০-১৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে থাকাটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার সামর্থ্য নেই বলে স্বপ্ন ছিল হলে আমার একটি সুন্দর ঠিকানা হবে।’ নোবিপ্রবিতে আবাসিক সংকটে দীর্ঘ তিন বছরেও হলে সিট না পাওয়ায় এভাবেই ঢাকা মেইলকে নিজের দুঃখের কথা বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের অনাবাসিক শিক্ষার্থী অভি সূত্রধর।
নোবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীর তুলনায় হল সংখ্যা কম হওয়ায় আবাসন সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২৯ শতাংশ। বাকি ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী হলে সিট না পেয়ে নানা ভোগান্তিতে রয়েছে বলে জানা যায়। ছেলেদের দুই হলের আসনের বিপরীতে ছাত্র সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫৩ জন। অপরদিকে মেয়েদের তিন হলের আসনের বিপরীতে ছাত্রী সংখ্যা ৩ হাজার ৬৯৬ জন। সম্প্রতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি হয়েছেন। এতে আবাসন সংকট আরও বেড়েছে।