রাজধানীর ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলার পেছনে ইউসিবি (ইউনাইটেড কলেজেস অব বাংলাদেশ) জড়িত। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্য প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন ইউসিবির ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য নাফিস মোল্লা।
তিনি বলেন, ইউসিবি একটি অরাজনৈতিক ও সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন। আমরা রাজধানীর ৮১টি কলেজে কল্যাণমূলক কাজ করে থাকি। সম্প্রতি ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ-এর মৃত্যু এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার ঘটনায় সংগঠনটি ‘ডিএমআরসি’ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন জানায় এবং আজকের কর্মসূচিতে নৈতিক সমর্থন দিয়ে শুধু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এর বাইরে কোনো ইন্ধন, উসকানির মধ্যে ইউসিবি ছিল না।
তিনি বলেন, গত বুধবার রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর সোহরাওয়ার্দী কলেজের পরিচয়দানকারী একটি গোষ্ঠী হামলা চালায়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে ডিএমআরসি শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করে। এই প্রেক্ষাপটে ইউসিবি শুধু শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচারের দাবিতে সহমর্মিতা জানায়।
বৃহস্পতিবার সকালের তদন্ত রিপোর্ট আনতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর পুনরায় হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইউসিবি সবসময় উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করেছে।
ইউসিবি পেজ থেকে কোনো উসকানিমূলক পোস্ট করা হয়নি, বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা ইউসিবির পেজে অভিমত প্রকাশ করলেও সেটি সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ত, সোহরাওয়ার্দী কলেজে সংঘর্ষে ইউসিবি কোনোভাবেই জড়িত নয়। আমাদের সংগঠন বরাবরই শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে।
বুধবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত দায়িত্বশীলরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি কেন প্রশ্ন রেখে নাফিস মোল্লা বলেন, অভিজিৎ-এর মৃত্যু নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নীরব কেন? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার স্পষ্ট দায়িত্বহীনতা কেন লক্ষ্য করা গেল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভূমিকা কেন নিষ্ক্রিয় ছিল?
তার অভিযোগ, সাম্প্রতিক ঘটনায় ২/১ টি মিডিয়া মূল ঘটনাকে আড়াল করতে এই অরাজনৈতিক সংগঠনটিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা শিক্ষা অঙ্গনের শান্তি ফেরাতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করছি।