জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে আরও ৪৫ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে এই কমিটির সদস্যসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ জন।
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিট সমুন্নত রাখতে গঠন করা হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সদস্য বাড়ানোর এই তথ্য জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
নতুন যুক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা আলী আহসান জোনায়েদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাসমুন নাহার হল সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেত্রী উম্মে হাবিবা বেনজির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক নেতা মীর আরশাদুল হক, ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদি, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন শিশির ও আরিফুর রহমান তুহিন, আইনজীবী মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহছান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অরণি সেমন্তি খান প্রমুখ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক দফা (ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক, আখতার হোসেনকে সদস্যসচিব ও সামান্তা শারমিনকে মুখপাত্র করে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করে।
গত ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের সাতজন আইনজীবীকে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত করা হয়। এই সাতজনকে যুক্ত করার পর নাগরিক কমিটির সদস্যসংখ্যা দাঁড়ায় ৬২। এখন এই কমিটিতে আরও ৪৫ জনকে যুক্ত করা হলো।