শরিয়ত পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শেরপুর সদরের লছমনপুর মুর্শিদপুর পাক দরবার শরিফের খাজা মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পীরের আস্তানা। সকাল থেকে হাজারো বিক্ষুদ্ধ জনতা এ হামলা চালায়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকেই শরিয়ত পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দোজা পীরের আস্তানা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয়রা। কিন্তু পীরের সেই আস্তানা বন্ধ না করে শরিয়ত পরিপন্থি কর্মকাণ্ড চালাতে থাকেন পীরের অনুসারিরা। এরই মধ্যে গেল ২৬ নভেম্বর ভোরে দোজা পীরের দরবারে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় জনতা ও দরবারের উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হন। পরে আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দরবারবিরোধী পক্ষের হাফেজ উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ২৭ নভেম্বর সকালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকে স্থানীয় একটি কলেজ মাঠে লোকজন জড়ো হতে থাকেন। পরে কয়েক হাজার লোক একত্রে পীরের আস্তানায় হামলা চালায়। এ সময় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় পীরের আস্তানা। এর আগে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গেলেও হাজারো জনতার তোপের মুখে ফিরে আসে।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মো. তারেক জানান, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের গাড়ি কুসুমহাটি বাজারে পৌঁছালেও নিরাপত্তার অভাবে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমরা অটোযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি যে সেখানে এখন কোনো আগুন নেই।
শেরপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত ) জাহাঙ্গীর আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাফেজ উদ্দিন নিহতের ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।