২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে নাটকীয়তা চলছিল। অথচ টুর্নামেন্টটি শুরু হতে আর সময় বাকি মাত্র আড়াই মাসের মতো। এই পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ড প্রধানদের উপস্থিতিতে সভা ডেকেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আজই (শুক্রবার) কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে ধারণা করা হলেও, সেই সভা মাত্র ২০ মিনিট পরই মূলতবি করা হয়েছে।
সভায় কোনো পক্ষই সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বলে সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) গতকালই অভ্যন্তরীণ সভা শেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোনোভাবেই হাইব্রিড মডেলে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। এমনকি ওই মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে অংশগ্রহণ না করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি।
ক্রিকবাজ বলছে, আইসিসির সভায় ১২ পূর্ণ সদস্য দেশ ও তিনটি সহযোগী দেশের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে (পরবর্তী) সভার স্থায়ীত্ব হতে পারে। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে দোলাচল কাটাতে কঠোর সাধনা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল শনিবার কিংবা কয়েকদিনের মধ্যে এই সভা আবারও অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অন্যদিকে, আরেক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, শুক্রবার ডাকা আইসিসির সভাটি ১৫ মিনিটের কম সময় স্থায়ী হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে— পিসিবি, বিসিসিআই ও আইসিসির নেতারা আরও কয়েকটি বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে বসে গ্রহণযোগ্য একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চেষ্টা চালাবে। সেই সমাধানটি হতে হবে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের সরকারের অনুমোদন পাওয়ার মতো।
পিসিবির প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী– আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসার কথা রয়েছে। কিন্তু বিপত্তি বেধেছে ভারত পাকিস্তানে খেলতে যেতে না চাওয়ায়। ইতোমধ্যে বিসিসিআই আইসিসিকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। জানা গেছে, দেশটির সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী পাকিস্তানে দল না পাঠানোর কথা আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। এরপরই হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টটি আয়োজনসহ কিছু বিষয় আলোচনায় আসে। তবে তাতে রাজি নয় পাকিস্তানও।
এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে পিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কয়েক ঘণ্টা আগেই আইসিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাইব্রিড মডেলের প্রসঙ্গ না তোলার কথা জানিয়ে দিয়েছে পিসিবি।’ যদিও এই কর্মকর্তা জানান, একটা পর্যায়ে এমন হাইব্রিড মডেলে রাজিও হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে এর সঙ্গে ছিল কঠিন এক শর্ত, ‘শুরুর দিকে তারা রাজি ছিল। তবে এ কথাও জানিয়েছিল, যদি এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হয় এবং ভারত পাকিস্তানে না আসে, তা হলে ২০৩১ পর্যন্ত আইসিসির যেসকল প্রতিযোগিতা ভারতে আয়োজিত হবে তার সবকটায় পাকিস্তানের জন্য হাইব্রিড মডেল রাখতে হবে।’