পাকিস্তানকে বড় দুঃসংবাদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ৬০ কোটি ডলারের ঋণ বাতিল সহায়তা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরে বাজেটে কোনো ধরনের সহায়তা পাবেন দেশটি।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সংশোধনসহ ইসলামাবাদ ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু প্রধান শর্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ফলে বিশ্বব্যাংক দেশটিকে ৬০ কোটি ডলারের বেশি বাজেট সহায়তা ঋণ বাতিল করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে পাকিস্তানকে নতুন করে আর কোনো বাজেট সহায়তা ঋণ প্রদান করবে না বিশ্বব্যাংক। ফলে বাজেটে দেশটি আরও নতুন ২ বিলিয়ন ডলার প্রাপ্তির যে আবেদন করতে চলেছিল তাও বাদ হয়ে গেল। এতে করে বাজেটে বড় ধাক্কা খেতে পারে দেশটি।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সাশ্রয়ী ও ক্লিন এনার্জি প্রোগ্রামের অধীনে ৫০ থেকে থেকে ৬০ কোটি ডলারের ঋণ বাতিল করেছে। এটি পেস-২ নামে পরিচিত। এ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার দিতে সম্মত হয়েছিল।
২০২১ সালের জুন মাসে বিশ্বব্যাংক এ প্রোগ্রামের অনুমোদন দেয়। এর অধীনে প্রথম কিস্তিও প্রদান করেছিল সংস্থাটি। তবে দ্বিতীয় ধাপে সিপিইসির অধীনে স্থাপিত চীনা পাওয়ার প্ল্যান্টসহ সব বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীর (আইপিপি) সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির অনুলিপি বিশ্বব্যাংককে প্রদান করতে বলা হয়। চীনের আপত্তির কারণে এ চুক্তির কোনো তথ্য সংস্থাটিকে দেয়নি দেশটি।
পাকিস্তানে বর্তমানে বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ রুপি। ফলে এটি দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত সবার নাভিশ্বাসের কারণ হয়ে উঠেছে। বিদ্যুতের দাম কমাতে ইসলামাবাদ বেসকরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে কোনো সুফল দেখা যায়নি।