সাবেক এক ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবলারকে ইউরোপের দেশ জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা দেশটির চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও জটিল করে তুলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের পক্ষে ১৭ দিনের টানা বিক্ষোভের মধ্যেই সাবেক ফুটবলার মিখেইল কেভলাশভিলি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
৫৩ বছর বয়সী কেভলাশভিলি, যিনি ক্ষমতাসীন ‘জর্জিয়ান ড্রিম’ দলের সদস্য ছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ছিলেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জর্জিয়ার ইলেক্টোরাল কলেজের ২২৫ জন সদস্যের মধ্যে ২২৪ জন তার পক্ষে ভোট দেন।
তবে প্রধান ৪টি বিরোধী দল কেভলাশভিলির নির্বাচন বয়কট করেছে এবং দাবি করেছে যে অক্টোবরের নির্বাচন জালিয়াতির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও শনিবার ভোর থেকে পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হন।
জর্জিয়ার বিদায়ী পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলি কেভলাশভিলির নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে তিনি দেশের শেষ বৈধ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে জুরাবিশভিলিকে ‘দেশের স্বার্থের ক্ষতি করার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেন এবং বলেন যে তার মেয়াদ শেষ হলে ২৯ ডিসেম্বর তাকে অবসর নিতে হবে।
কেভলাশভিলি ‘পিপলস পাওয়ার’ দলের প্রতিষ্ঠাতা, যা জর্জিয়ার প্রধান পশ্চিমাবিরোধী প্রচারের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি বিরোধী দলগুলোকে বিদেশ থেকে পরিচালিত ‘পঞ্চম কলাম’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্ট জুরাবিশভিলিকে ‘প্রধান এজেন্ট’ বলে অভিহিত করেছেন।
জর্জিয়ান ড্রিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা দেশকে রাশিয়ার প্রভাবাধীন অঞ্চলে ফিরিয়ে নিচ্ছে। ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র দেশটির গণতান্ত্রিক অবনতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং গত দুই সপ্তাহে ৪৬০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।