ইংল্যন্ড থেকে এসেছে নিষেধাজ্ঞা। বার্মিংহ্যামের ল্যাবের পরীক্ষায় পাশ করা হয়নি বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। দীর্ঘ ১৭ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় পার করার পর সাকিবের নামের পাশে এখন বোলিং নিষেধাজ্ঞা। নিজের ক্যারিয়ারে যেটা ছিল সবচেয়ে সহজাত অস্ত্র, সেটাই এখন সাকিবের জন্য নিষিদ্ধ।
ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে সন্দেহের তালিকায় পড়েন। এরপর বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন। তাতে ত্রুটি ধরা পড়ায় ইংল্যান্ডের ঘরোয়া যেকোনো আসরে আর থাকা হচ্ছে না সাকিবের। বিষয়টা এখানেই থামতে পারত। কিন্তু আইসিসির আইনটা যে আরেকটু জটিল। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে সবখানেই। এমনকি লঙ্কা টি-টেন লিগেও সাকিব এখন শুধুই ব্যাটার।
গতকাল গল মার্ভেলসের হয়ে জাফনা টাইটান্সের বিপক্ষে ১৩ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলেছেন সাকিব। বল হাতে করেননি একটি ওভারও। লুক উড, বিনুরা ফার্নান্দো, মাহিশ থিকশানা, জাহুর খান এবং চামিরা বিক্রমাসিংহে পূরণ করেছেন ওভারের কোটা। ম্যাচটা অবশ্য হেরেছে সাকিবের দল।
আজও নিজেদের ম্যাচে কলম্বো জাগুয়ার্সের বিপক্ষে বল হাতে দেখা যায়নি সাকিবকে। যদিও মূল একাদশে ঠিকই আছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। সাকিব আল হাসানের জন্য আপাতত তাই পরিচয় শুধুই ব্যাটারের।
আইসিসির বোলিং বিধিনিষের সংক্রান্ত আইনের ১১.৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘একটি জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি কোনো বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণ-বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।’
একই অনুচ্ছেদের শেষদিকে বলা হয়েছে, ‘অতিরিক্ত কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া সব জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন এবং তাদের অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই নোটিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। আইসিসি এবং জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলো সিদ্ধান্ত আরোপ ও কার্যকরের জন্য সব পদক্ষেপ বিধিসম্মতভাবে নেবে।’
যার অর্থ, আপাতত বাংলাদেশের এই তারকার জন্য আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল ঘোরানো নিষিদ্ধ। পরবর্তী পরীক্ষার পরেই কেবল বল হাতে দেখা যেতে পারে সাকিবকে।