সাভার সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে দুই ঘণ্টার অধিক সময় চিকিৎসাধীন থাকার পরে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় বিএনপি মহাসচিব বাসায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, এই মাত্র মহাসচিব বাসায় পৌঁছেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, মহাসচিব সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। এখন তিনি বিশ্রামে আছেন।
সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভিড়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর একটা পর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাশে থাকা দলের স্থায়ী কমিটির অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন দ্রুত তাকে সিএমএইচএ নিয়ে আসেন।
সিএমএইচের চিকিৎসকরা বিএনপি মহাসচিবকে ভর্তি করে দ্রুত চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। সাভার সিএমএইচে তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টগুলোর ফলাফল ভালো। সিএমএইচের চিকিৎসকরা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি মহাসচিবকে বাসায় যাওয়ার ছাড়পত্র দেন।
জাহিদ বলেন, হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপি মহাসচিব স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এত ভিড় ছিল যা না দেখলে বোঝানো সম্ভব না। শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে মহাসচিব সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ের জন্য যখন যাচ্ছিলেন তখন এই ভিড়ের চাপে মহাসচিব অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বসে পড়েন।
আমি, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু দ্রুত তাকে ধরাধরি করে গাড়িতে তুলে সিএমিইচে নিয়ে আসি। আল্লাহর রহমত হাসপাতালে আসার সঙ্গে সঙ্গে মেডেসিন, হৃদরোগ, আইসিইউসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মহাসচিবের চিকিৎসা দ্রুত শুরু করেন, কয়েকটি পরীক্ষাও করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ হয়েছে জেনে দ্রুত নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান সিএমএইচে আসেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।