বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে একটাই প্রশ্ন—কবে হামজা বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবেন? বাফুফের কাছে সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। ফিফার প্লেয়ার স্টাটাস কমিটির দিকে তাকিয়ে তারা।
এমন অবস্থায় আজ কিছুক্ষণ আগে হামজা চৌধুরী তার ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন ‘দুপুর একটায় (লন্ডন সময়) একটি দারুণ বিষয় শেয়ার করতে চাই সবার সঙ্গে।’
বাংলাদেশের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সময়ের পার্থক্য ছয় ঘণ্টা। লন্ডনের একটা মানে বাংলাদেশের সন্ধ্যা সাতটা। হামজা কি ঘোষণা দেবেন এটা নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ রয়েছে। হামজার এই স্ট্যাটাস নিয়ে বাফুফেও নীরব ভূমিকায়। অনেকের ধারণা, হামজার মাধ্যমেই বাফুফে কোনো চমক দিতে চায়।
হামজা ইংল্যান্ডে বেড়ে উঠলেও বাংলাদেশের প্রতি তার অসম্ভব টান রয়েছে। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার ইচ্ছে তার অনেক দিনের। সেই ইচ্ছে বাস্তবায়নের প্রায় দোড়গোড়ায়। সেই সংবাদটি হয়তো তিনি আনুষ্টানিক ঘোষণা করতে পারেন ফিফার সবুজ সংকেত পেয়ে। পরিবার বা তার ক্যারিয়ার নিয়েও কিছু বলতে পারেন। তার ঘোষণার আগ পর্যন্ত অবশ্য তাই এক প্রকার উৎকণ্ঠা কাজ করছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। বেশ কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশ জার্সিতে তার খেলার কথা। বাংলাদেশ পাসপোর্ট,ইংল্যান্ড ফুটবল এসোসিয়েশনের অনাপত্তি পত্র সব আনুষ্ঠানিকতাই সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য শেষ ধাপ ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছেও আবেদন করেছে বাফুফে অনেক দিন। সেই আবেদনের পরও দুই পক্ষ একাধিক চিঠি চালাচালি করেছে।
বাফুফে সভাপতি মাত্র দুই দিন আগেও হামজা চৌধুরি নিয়ে বলেছিলেন এখনো কোনো আপডেট নেই। হামজা চৌধুরির বাংলাদেশের খেলা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমেও অনেক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম তথ্য আসছে। কোনো আপডেট থাকলে বাফুফে সভাপতি গণমাধ্যমকে জানাবেন বলে মন্তব্যও করেছিলেন।