রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার নয় বছরের সামরিক হস্তক্ষেপ ব্যর্থ হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েলই সবচেয়ে বেশি লাভবান। সিরিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়া ইস্যুতে একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন পুতিন। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তিনি জানান, সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান ও নৌঘাঁটি ধরে রাখার প্রস্তাব দামেস্কে নতুন শাসকদের কাছে দিয়েছে মস্কো।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন পুতিন। তিনি জানান, আসাদ মস্কোতে আশ্রয় নিলেও তার সঙ্গে এখনো দেখা হয়নি। তবে শিগগিরই সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পুতিন বলেন, ২০১৫ সাল থেকে রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ সিরিয়াকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করেছে। তবে আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েলই সিরিয়ায় প্রধান সুবিধাভোগী।
গত আগস্টে আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েল গোলান হাইটসের বিভাজন রেখার পাশে সেনা মোতায়েন করে। একই সঙ্গে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অস্ত্র ও সরঞ্জাম ধ্বংসে বিমান হামলা চালায়।
পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া সিরিয়ার ভূখণ্ড দখলের ইসরায়েলি কার্যক্রমের নিন্দা জানায়। এটি স্পষ্ট যে ইসরায়েল ২৫ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করেছে এবং সিরিয়ার পুরনো সোভিয়েত নির্মিত প্রতিরক্ষা অবস্থান পর্যন্ত পৌঁছেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ইসরায়েল একসময় সিরিয়ার ভূখণ্ড ছেড়ে যাবে। তবে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তারা শুধু থাকবে না, বরং আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করবে।
পুতিন এও উল্লেখ করেন যে, তুরস্কও সিরিয়ায় তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক আইন, সব দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার পক্ষে আছি। সিরিয়ার ক্ষেত্রেও এই নীতির প্রয়োগ প্রাসঙ্গিক।